• শুক্ৰ. ডিচে 5th, 2025

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের নাটকীয় জয়

Byফাহিম হোসেন

অক্টো 24, 2025

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল পাকিস্তান। সিডনিতে বৃহস্পতিবার বৃষ্টিবিঘ্নিত এক ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে প্রোটিয়াদের ৩৩ রানে হারিয়েছে বাবর আজমের দল। এই জয়ে পাকিস্তানের সেমি-ফাইনালে খেলার আশা কাগজে-কলমে টিকে রইল। অন্যদিকে, হারের পরও দক্ষিণ আফ্রিকা সেমি-ফাইনালের দৌড়ে ভালোভাবেই আছে।

শাদাব-ইফতিখারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানো

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল ভয়াবহ। ৪৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল তারা। অধিনায়ক বাবর আজম (৬) আরও একবার ব্যর্থ হন। মোহাম্মদ হারিস (১১ বলে ২৮) কিছুটা ঝড় তুললেও তা যথেষ্ট ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে মোহাম্মদ নওয়াজকে (২৮) নিয়ে ৫২ রানের জুটি গড়েন ইফতিখার আহমেদ। নওয়াজ ফিরলেও ইফতিখার তুলে নেন ৫১ রান। তবে খেলার আসল মোড় ঘুরিয়ে দেন শাদাব খান। সাতে নেমে তিনি মাত্র ২২ বলে ৪টি ছক্কা ও ৩টি চারে ৫২ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। এই দুই ফিফটিতে পাকিস্তান ৯ উইকেটে ১৮৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায়।

বৃষ্টির বাধা ও প্রোটিয়াদের ব্যাটিং ধস

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শাহিন শাহ আফ্রিদির তোপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি কক (০) ও রাইলি রুশোকে (৭) দ্রুতই ফেরান আফ্রিদি। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা (৩৬) ও এইডেন মারক্রাম (২০) দলকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বল হাতেও জ্বলে ওঠেন শাদাব। এক ওভারেই এই দুজনকে ফিরিয়ে তিনি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানের হাতে তুলে দেন। দক্ষিণ আফ্রিকার রান যখন ৯ ওভারে ৪ উইকেটে ৬৯, তখন বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির পর প্রোটিয়াদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪ ওভারে ১৪২ রান। অর্থাৎ, শেষ ৫ ওভারে ৭৩ রান প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এই অসম্ভব সমীকরণ মেলাতে পারেনি তারা, ৯ উইকেটে ১০৮ রানেই থেমে যায়। শাহিন আফ্রিদি ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন। অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্য ম্যাচসেরা হন শাদাব খান।

টেস্ট থেকে বিরতির কারণ জানালেন শ্রেয়াস আইয়ার

এদিকে, ক্রিকেটের ভিন্ন ফরম্যাটে শারীরিক সক্ষমতা ও তীব্রতা ধরে রাখার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছেন ভারতীয় ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬১ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার পর, আইয়ার তার লাল বলের ক্রিকেট থেকে ছয় মাস দূরে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানান, টেস্ট ক্রিকেটের শারীরিক ধকল তার পারফরম্যান্সের তীব্রতা কমিয়ে দিচ্ছিল।

‘তীব্রতা ধরে রাখতে পারছিলাম না’

আইয়ার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আইপিএলের পর যখন আমি লাল বলের ক্রিকেট খেলি, তখন বুঝতে পারি যে দীর্ঘ সময় মাঠে ফিল্ডিং করলে আমার তীব্রতা কমতে শুরু করে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে তীব্রতা বজায় রাখা প্রয়োজন, আমি সেটির সাথে মানিয়ে নিতে পারছিলাম না।” তিনি আরও যোগ করেন, “ওয়ানডেতে আপনি জানেন একদিন পর বিশ্রাম পাবেন এবং সেরে উঠতে পারবেন। টেস্টে তা হয় না। একারণেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”

কৌশল ও স্ট্যান্সের পরিবর্তন

২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটার জানান, টেস্ট থেকে বিরতির এই সময়ে তিনি তার ব্যাটিং কৌশল শাণিত করা এবং সাদা বলের ফরম্যাটের জন্য শরীরকে পুরোপুরি ফিট রাখার দিকে মনোনিবেশ করেন। তিনি তার ব্যাটিং স্ট্যান্স পরিবর্তন করে কিছুটা সোজা (আপরাইট) করেছেন। আইয়ার বলেন, “আমি গত বছর থেকেই একটি সোজা স্ট্যান্সে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম, বিশেষ করে এমন উইকেটে যেখানে বাউন্স একটু বেশি থাকে। আমি এভাবেই খেলে বড় হয়েছি, তাই পুরোনো পদ্ধতিতে ফিরে দেখতে চেয়েছিলাম এটি কেমন কাজ করে।” তিনি মনে করেন, এই পরিবর্তন তাকে বিভিন্ন পিচে সহজে মানিয়ে নিতে সাহায্য করছে।