Recent News

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নের জন্য ৩৮৫ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দ করেছে, ২০২৬ সালের মধ্যে বার্ষিক ১০% প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য

বাংলাদেশ সরকার আগামী তিন বছরে কৃষি উন্নয়নে ৩৮৫ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দ করেছে, যা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এই খাতে গড় বার্ষিক ১০% প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা স্থাপন করে।

‘মধ্যমেয়াদী ম্যাক্রোইকোনমিক পলিসি স্টেটমেন্ট (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬)’ অনুযায়ী, এই বিনিয়োগ খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন এবং সমতামূলক অর্থনৈতিক বৃদ্ধি চালিত করতে কৃষির কেন্দ্রীয় ভূমিকা জোরদার করে।

জিডিপি-তে অংশীদারিত্ব হ্রাস পেলেও, কৃষি বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় বেশিরভাগ মানুষের জীবিকার জন্য এখনও অপরিহার্য। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে সহনশীলতা বাড়াতে সরকারের কৌশল অন্তর্ভুক্ত আছে উচ্চ ফলনশীল এবং বিপর্যয়-সহনশীল ফসলের জাত বিকাশ, যান্ত্রিকীকরণ ও সেচের প্রসার, এবং বীজ এবং সারের মতো সাশ্রয়ী উপকরণের সহজ প্রাপ্যতা উন্নতি।

নীতিমালা দলিলে প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ভূগর্ভস্থ জলের পরিবর্তে পৃষ্ঠস্থ জলের ব্যবহার বাড়ানো, নবায়নযোগ্য শক্তি সমাধান অন্তর্ভুক্তি, এবং ফসল পর্যবেক্ষণের জন্য রিমোট সেন্সিং ব্যবহার।

সরকার সাবসিডি, আর্থিক প্রণোদনা, এবং প্রযুক্তিগত নবীনত্বের মাধ্যমে এই খাতকে সহায়তা অব্যাহত রাখছে যাতে একটি টেকসই এবং স্বাবলম্বী কৃষি কাঠামো গড়ে তোলা যায়।

মৎস্য ও পশুপালন উপ-খাতগুলি থেকেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান আসছে, যা যথাক্রমে জিডিপিকে ২.৫৩% এবং ১.৯১% বৃদ্ধি করে না কেবল জিডিপিকে বাড়াচ্ছে, কিন্তু প্রোটিনের অপরিহার্য উৎস এবং ১২% জনসংখ্যার জীবিকা সরবরাহ করছে। এই এলাকাগুলিতে অর্জনের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস, এবং ডিম উৎপাদনে আত্মনির্ভরতা, দুধের উৎপাদন অনুসরণের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এছাড়াও, এই খাতগুলি রফতানির মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা অর্জনের জন্য জরুরি।